top of page

অশ্বগন্ধা বনাম জিনসেং!

  • সুস্বাস্থ্য প্রকাশনা
  • May 15
  • 7 min read

অশ্বগন্ধা: একটি বিস্ময়কর ভেষজ উদ্ভিদ

অশ্বগন্ধা (Withania somnifera) হল একটি সুপরিচিত ভেষজ উদ্ভিদ যা প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বহু বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি প্রধানত ভারত, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার কিছু অঞ্চলে জন্মায়। এর নাম "অশ্বগন্ধা" এসেছে সংস্কৃত শব্দ থেকে, যার অর্থ "ঘোড়ার গন্ধ"। কারণ, এর মূলের গন্ধ অনেকটা ঘোড়ার মতো এবং এটি ব্যবহারের ফলে দেহে ঘোড়ার মতো শক্তি সঞ্চারিত হয় বলে মনে করা হয়।

ree

অশ্বগন্ধার বৈজ্ঞানিক শ্রেণিবিন্যাস

- রাজ্য: Plantae

- পর্ব: Angiosperms

- বর্গ: Solanales

- পরিবার: Solanaceae

- গণ: Withania

- প্রজাতি: W. somnifera


অশ্বগন্ধার রাসায়নিক উপাদান

অশ্বগন্ধার মূল এবং পাতা বিভিন্ন উপকারী রাসায়নিক যৌগ ধারণ করে, যার মধ্যে প্রধান হল:

- উইথানোলাইড (Withanolides)

- অ্যাকালোইডস (Alkaloids)

- স্যাপোনিন (Saponins)

- স্টেরয়েডাল ল্যাকটোন (Steroidal Lactones)

ree

এই উপাদানগুলো একসঙ্গে কাজ করে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সহায়ক হয়।


স্বাস্থ্য উপকারিতা


মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমানো

অশ্বগন্ধা একটি শক্তিশালী অ্যাডাপ্টোজেনিক ভেষজ, যা দেহকে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। এটি কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।


শক্তি ও সহনশীলতা বৃদ্ধি

অশ্বগন্ধা শারীরিক শক্তি ও সহনশীলতা বৃদ্ধি করতে কার্যকরী। ক্রীড়াবিদ এবং ভার উত্তোলকরা এটি নিয়মিত গ্রহণ করে থাকেন, কারণ এটি মাংসপেশির শক্তি ও স্ট্যামিনা বাড়াতে সহায়তা করে।


স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অশ্বগন্ধা স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি নিউরনের পুনর্জন্মকে উদ্দীপিত করে, যা অ্যালঝাইমার্স এবং পার্কিনসন্স রোগের মতো স্নায়ুবিক রোগ প্রতিরোধ করতে পারে।


অনিদ্রা দূরীকরণ

"Somnifera" নামের অর্থই হল "ঘুম আনয়নকারী"। অশ্বগন্ধা একটি প্রাকৃতিক ঘুম আনয়নকারী ঔষধি, যা অনিদ্রা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।


হৃদরোগ প্রতিরোধ

অশ্বগন্ধা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।


রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

এটি দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক এবং ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

ree

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ

অশ্বগন্ধা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে পারে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।


যৌন স্বাস্থ্য বৃদ্ধি

অশ্বগন্ধা যৌন শক্তি ও উর্বরতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এটি টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে পারে এবং পুরুষদের স্পার্ম কাউন্ট উন্নত করতে সহায়ক।


অশ্বগন্ধার ব্যবহার ও মাত্রা

অশ্বগন্ধার গুঁড়া, ক্যাপসুল, ট্যাবলেট এবং তরল নির্যাস বিভিন্ন উপায়ে গ্রহণ করা যায়। সাধারণত, প্রতিদিন ৩০০-৫০০ মিলিগ্রাম গ্রহণ করা নিরাপদ বলে ধরা হয়। তবে, এটি গ্রহণের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ree

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও সতর্কতা

অশ্বগন্ধা সাধারণত নিরাপদ, তবে অতিরিক্ত মাত্রায় গ্রহণ করলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে, যেমন:

- পাকস্থলীর সমস্যা

- নিম্ন রক্তচাপ

- অতিরিক্ত তন্দ্রা

- গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অনিরাপদ হতে পারে

অশ্বগন্ধা আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলোপ্যাথিক প্রয়োগ হল:

স্ট্রেস ও উদ্বেগ: অশ্বগন্ধার নির্যাস অনেক এলোপ্যাথিক ওষুধে ব্যবহার করা হয়, বিশেষত অ্যাডাপ্টোজেনিক ফার্মাসিউটিক্যাল ওষুধে।

স্নায়ুবিক রোগ: পারকিনসন্স, অ্যালঝাইমার্স এবং অন্যান্য নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের চিকিৎসায় এটি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

অ্যান্টি-ক্যান্সার প্রভাব: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, অশ্বগন্ধা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি কমাতে সহায়ক হতে পারে, বিশেষ করে কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে।

হরমোন ব্যালান্স: এটি এন্ডোক্রাইন সিস্টেমের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং হরমোন ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে।

কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য: উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ প্রতিরোধে এটি ফার্মাসিউটিক্যাল ওষুধের পরিপূরক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

ree

অশ্বগন্ধার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় প্রয়োগ

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় অশ্বগন্ধা বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে ব্যবহৃত হয়। স্নায়বিক দুর্বলতা: এটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং ক্লান্তি দূর করতে ব্যবহৃত হয়।

অনিদ্রা: হোমিওপ্যাথিক ওষুধে অশ্বগন্ধার নির্যাস অনিদ্রা কমাতে ব্যবহৃত হয়।

শারীরিক ও মানসিক অবসাদ: এটি শক্তি পুনরুদ্ধার ও স্ট্রেস কমানোর জন্য কার্যকরী।

অস্থিরতা ও উদ্বেগ: মানসিক প্রশান্তি আনার জন্য হোমিওপ্যাথিক ওষুধে এটি ব্যবহৃত হয়।

পেশি ও জয়েন্ট ব্যথা: বাত ও আর্থ্রাইটিসের ব্যথা উপশমে এটি কার্যকর।

ree

অশ্বগন্ধার আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় প্রয়োগ

আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় অশ্বগন্ধা বহু বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

শক্তিবর্ধক: দেহের শক্তি ও সহনশীলতা বৃদ্ধিতে এটি ব্যবহৃত হয়।

মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নতকরণ: স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি ও মানসিক প্রশান্তির জন্য ব্যবহৃত হয়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: এটি ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।

বাত ও জয়েন্ট ব্যথা: এটি অস্থিসন্ধির ব্যথা ও প্রদাহ কমায়।

প্রজনন স্বাস্থ্য: এটি যৌন স্বাস্থ্য ও উর্বরতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।

অশ্বগন্ধা একটি শক্তিশালী ও উপকারী ভেষজ উদ্ভিদ যা বহু শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সমাধানে কার্যকরী। তবে, যেকোনো ভেষজ গ্রহণের আগে সঠিক পরামর্শ নেওয়া এবং নির্ধারিত মাত্রায় গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।


জিনসেং(Ginseng) একটি জনপ্রিয় ভেষজ উদ্ভিদ

জিনসেং (Ginseng) একটি জনপ্রিয় ভেষজ উদ্ভিদ যা বহু শতাব্দী ধরে এশিয়া এবং উত্তর আমেরিকায় ঔষধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি প্রধানত শরীরের শক্তি বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হয় এবং আয়ুর্বেদ, চীনা চিকিৎসা এবং আধুনিক ফার্মাসিউটিক্যাল গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছে।

ree

জিনসেং-এর বৈজ্ঞানিক শ্রেণিবিন্যাস

- রাজ্য: Plantae

- পর্ব: Angiosperms

- বর্গ: Apiales

- পরিবার: Araliaceae

- গণ: Panax

- প্রজাতি: Panax ginseng (এশিয়ান জিনসেং), Panax quinquefolius (আমেরিকান জিনসেং)


জিনসেং-এর প্রকারভেদ

জিনসেং-এর বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে, তবে সাধারণত তিনটি প্রধান প্রকারের জিনসেং সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়:

এশিয়ান বা কোরিয়ান জিনসেং (Panax ginseng): শক্তিবর্ধক হিসেবে এবং মানসিক কার্যকারিতা উন্নত করতে ব্যবহৃত হয়।

আমেরিকান জিনসেং (Panax quinquefolius): এটি শরীরকে শীতল করে এবং স্ট্রেস কমাতে সহায়ক।

সাইবেরিয়ান জিনসেং (Eleutherococcus senticosus): যদিও এটি সত্যিকারের জিনসেং নয়, তবে এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ব্যবহৃত হয়।


রাসায়নিক উপাদান

জিনসেং-এর প্রধান কার্যকরী উপাদান হলো জিনসেনোসাইডস (Ginsenosides) এবং পলিস্যাকারাইডস (Polysaccharides) । এরা একসাথে শরীরের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রমকে উদ্দীপিত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।


জিনসেং-এর উপকারিতা


শক্তি ও সহনশীলতা বৃদ্ধি

জিনসেং ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে এবং শারীরিক ও মানসিক শক্তি বাড়ায়। এটি অ্যাথলেটদের মধ্যে জনপ্রিয়, কারণ এটি স্ট্যামিনা উন্নত করে।


মানসিক কার্যকারিতা বৃদ্ধি

গবেষণায় দেখা গেছে, জিনসেং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে এবং মানসিক স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।


স্ট্রেস ও উদ্বেগ কমানো

জিনসেং শরীরের স্ট্রেস প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং উদ্বেগ কমাতে সহায়ক। এটি কর্টিসল হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।


ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালীকরণ

জিনসেং সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।


হৃদরোগ প্রতিরোধ

এটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে।


ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ

গবেষণায় দেখা গেছে, জিনসেং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে পারে।


যৌন স্বাস্থ্য উন্নতকরণ

জিনসেং পুরুষদের মধ্যে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে এবং যৌন স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে।


জিনসেং-এর চিকিৎসায় ব্যবহার


এলোপ্যাথিক চিকিৎসায়

- জিনসেং ক্লান্তি ও দুর্বলতা দূর করতে ব্যবহৃত হয়।

- এটি কিছু ক্যান্সার রোগীদের জন্য পরিপূরক চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

- মানসিক স্বাস্থ্য এবং স্নায়ুরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।


হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায়

- জিনসেং হোমিওপ্যাথিক ওষুধে ক্লান্তি, অবসাদ এবং উদ্বেগ কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।


আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায়

- আয়ুর্বেদে এটি শক্তি ও যৌন স্বাস্থ্য উন্নত করতে ব্যবহৃত হয়।

- এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

ree

জিনসেং-এর ব্যবহার ও মাত্রা

জিনসেং-এর গুঁড়া, ক্যাপসুল, চা এবং ট্যাবলেট আকারে গ্রহণ করা যায়। সাধারণত, দিনে ২০০-৪০০ মিলিগ্রাম গ্রহণ করা নিরাপদ বলে ধরা হয়।


যদিও জিনসেং সাধারণত নিরাপদ, তবে অতিরিক্ত গ্রহণ করলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে, যেমন:

- অনিদ্রা

- উচ্চ রক্তচাপ

- পেটের সমস্যা

- মাথাব্যথা


জিনসেং একটি শক্তিশালী ও কার্যকরী ভেষজ যা মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি আয়ুর্বেদ, হোমিওপ্যাথি এবং আধুনিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। তবে, এটি গ্রহণের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।


হৃদযন্ত্র অস্ত্রোপচারের পর রোগীর জন্য পুষ্টিকর, সুস্বাদু এবং সহজপাচ্য কিছু আমিষ ও নিরামিষ রান্না

হৃদযন্ত্রের অস্ত্রোপচারের পর শরীরের পুনরুদ্ধারের জন্য খাদ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সময় রোগীর দেহের প্রয়োজন হয়:

উচ্চ প্রোটিন

কম স্যাচুরেটেড ফ্যাট

কম সোডিয়াম

পর্যাপ্ত ফাইবার

ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট

রান্নার সময় তেল, মসলা এবং লবণের ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত রাখতে হবে, যাতে হজম সহজ হয় ও হৃৎপিণ্ডে অতিরিক্ত চাপ না পড়ে।


আমিষভিত্তিক রান্নার রেসিপি

ree

হালকা গ্রিলড চিকেন (লেবু ও অলিভ অয়েল দিয়ে)


উপকরণ:

চিকেন বোনলেস ব্রেস্ট – ২০০ গ্রাম

অলিভ অয়েল – ১ টেবিল চামচ

লেবুর রস – ২ টেবিল চামচ

রসুন বাটা – ১/২ চা চামচ

গোলমরিচ – স্বাদমতো

লবণ – সামান্য

ধনে পাতা – সামান্য


প্রণালী:

১. চিকেন ধুয়ে লেবুর রস, রসুন, গোলমরিচ ও অলিভ অয়েল দিয়ে ম্যারিনেট করুন অন্তত ১ ঘন্টা।

২. ননস্টিক প্যানে অল্প তেলে গ্রিল করে নিন ৮-১০ মিনিট।

৩. পাশে সেদ্ধ সবজি দিয়ে পরিবেশন করুন।

পরিমাণ: ১ পরিবেশন

ক্যালোরি: ~220 kcal

প্রোটিন: 30g

ফ্যাট: 8g (প্রধানত অলিভ অয়েল থেকে)

কার্বোহাইড্রেট: 1g

ফাইবার: 0g

ভিটামিন: B6, B12, Niacin, Zinc

পুষ্টিগুণ: প্রোটিন সমৃদ্ধ, কম ফ্যাটযুক্ত, হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী।

ree

মাছের ঝোল (রুই বা তেলাপিয়া)


উপকরণ:

মাছ – ২ টুকরা

সরিষা বাটা – ১ চা চামচ

টমেটো – ১টি (কুচানো)

হলুদ – ১/৪ চা চামচ

লবণ – পরিমাণমতো

সরিষার তেল – ১ চা চামচ


প্রণালী:

১. মাছ ধুয়ে লবণ ও হলুদ মেখে সামান্য ভেজে নিন।

২. টমেটো ও সরিষা বাটার সঙ্গে ঝোল তৈরি করুন।

৩. মাছ দিয়ে ১০ মিনিট ঢেকে রান্না করুন।


টিপস: ভাজা কম করুন, ঝোল পাতলা রাখুন।

পরিমাণ: ১ পরিবেশন (২ টুকরা মাছ সহ)

ক্যালোরি: ~180 kcal

প্রোটিন: 22g

ফ্যাট: 6g

কার্বোহাইড্রেট: 3g

ফাইবার: 0.5g

ভিটামিন: Omega-3 (বিশেষ করে যদি রুই/তেলাপিয়া হয়), D, B12

ree

ডিম-সয়া চপ


উপকরণ:

সেদ্ধ ডিম – ১টি

সোয়াবিন – ১ কাপ (সেদ্ধ ও ছাঁকা)

পেঁয়াজ, আদা, রসুন – অল্প

গমের আটা – ১ চা চামচ


প্রণালী:

১. সব উপকরণ মিশিয়ে ডো তৈরি করুন।

২. চপ বানিয়ে ননস্টিক প্যানে টোস্ট করুন।


উপকারিতা: প্রোটিনে ভরপুর, ডিমের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে ব্যবহার।

পরিমাণ: ১টি চপ

ক্যালোরি: ~150 kcal

প্রোটিন: 12g

ফ্যাট: 6g

কার্বোহাইড্রেট: 10g

ফাইবার: 2g

ভিটামিন: B12, Iron, Folate\

ree

নিরামিষ রান্নার রেসিপি (Vegetarian Recipes)


সবজির খিচুড়ি (কম তেল ও লবণে)


উপকরণ:

চাল – ১/২ কাপ

মসুর ডাল – ১/২ কাপ

গাজর, ফুলকপি, বুটের দানা – ১ কাপ

তেজপাতা, আদা বাটা – অল্প


প্রণালী:

১. চাল ও ডাল ধুয়ে অল্প তেলে তেজপাতা ফোড়ন দিন।

২. সবজি দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে চাল-ডাল মিশিয়ে দিন।

৩. পর্যাপ্ত জল দিয়ে নরম করে রান্না করুন।


পুষ্টিগুণ: সহজপাচ্য কার্ব, প্রোটিন ও ফাইবারের ভারসাম্য।

পরিমাণ: ১ বাটি (১ কাপ)

ক্যালোরি: ~280 kcal

প্রোটিন: 10g

ফ্যাট: 5g

কার্বোহাইড্রেট: 45g

ফাইবার: 5g

ভিটামিন: A, C, Iron, Folate

ree

পালং শাক ও মুগ ডাল সেদ্ধ


উপকরণ:


মুগ ডাল – ১/২ কাপ

পালং শাক – ১ কাপ (কুচানো)

আদা বাটা – ১ চা চামচ

জিরে গুঁড়া – ১/৪ চা চামচ


প্রণালী:

১. ডাল সেদ্ধ করুন।

২. শাক ও মসলা দিয়ে আরও ৫ মিনিট সেদ্ধ করুন।


উপকারিতা: আয়রন ও ফাইবারে সমৃদ্ধ।


পরিমাণ: ১ বাটি

ক্যালোরি: ~160 kcal

প্রোটিন: 9g

ফ্যাট: 3g

কার্বোহাইড্রেট: 18g

ফাইবার: 4g

ভিটামিন: Iron, A, C, K


দই-আলু টিক্কি


উপকরণ:


সেদ্ধ আলু – ১টি

কম ফ্যাটযুক্ত দই – ২ টেবিল চামচ

ধনে পাতা, জিরে গুঁড়া – সামান্য


প্রণালী:

১. আলু ম্যাশ করে টিক্কি বানান।

২. ননস্টিক প্যানে গ্রিল করে, উপরে দই দিয়ে পরিবেশন করুন।


টিপস: ভাজা নয়, বরং গ্রিল করা স্বাস্থ্যকর।

পরিমাণ: ২টি টিক্কি

ক্যালোরি: ~130 kcal

প্রোটিন: 4g

ফ্যাট: 3g

কার্বোহাইড্রেট: 22g

ফাইবার: 2g

ভিটামিন: B6, C, Calcium (দই থেকে)



---

ree

স্যুপ ও হালকা সাইড আইটেম


ভেজিটেবল ক্লিয়ার স্যুপ


উপকরণ:


গাজর, বাঁধাকপি, বিনস – ১ কাপ (কুচানো)

আদা, রসুন – অল্প

কর্নফ্লাওয়ার – ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক)


প্রণালী:

১. সবজি সামান্য সিদ্ধ করে নিন।

২. স্বল্প লবণ ও আদা দিয়ে ফোটান।

পরিমাণ: ১ বাটি

ক্যালোরি: ~60 kcal

প্রোটিন: 2g

ফ্যাট: 1g

কার্বোহাইড্রেট: 10g

ফাইবার: 2g

ভিটামিন: C, A, Folate


ওটস উপমা


উপকরণ:


ওটস – ১ কাপ

মটরশুঁটি, গাজর, পেঁয়াজ – কুচানো

সরিষা দানা, কারিপাতা – ফোড়নের জন্য


প্রণালী:

১. অল্প তেলে ফোড়ন দিন।

২. সবজি ও ওটস দিয়ে রান্না করুন।

পরিমাণ: ১ বাটি

ক্যালোরি: ~200 kcal

প্রোটিন: 6g

ফ্যাট: 5g

কার্বোহাইড্রেট: 30g

ফাইবার: 4g

ভিটামিন: B1, Magnesium, Iron


ree

রাগি ইডলি


উপকরণ:


রাগি আটা – ১ কাপ

দই – ১/২ কাপ

বেকিং সোডা – সামান্য


প্রণালী:

১. সব উপকরণ মিশিয়ে ব্যাটার বানান।

২. ইডলি স্টিমারে দিয়ে ১৫ মিনিট স্টিম করুন।

পরিমাণ: ২টি ইডলি

ক্যালোরি: ~140 kcal

প্রোটিন: 5g

ফ্যাট: 1g

কার্বোহাইড্রেট: 28g

ফাইবার: 3g

ভিটামিন: Calcium, Iron, B Vitamins


কিছু পুষ্টি নির্দেশনা


দৈনিক অন্তত ৪-৫ বেলা খাওয়া উচিত।

প্রতিবার খাবারে শাকসবজি ও প্রোটিন থাকতে হবে।

ভাজাপোড়া, রেড মিট, অতিরিক্ত লবণ এড়িয়ে চলুন।

জলপান পর্যাপ্ত পরিমাণে করতে হবে।


আপনার নির্দিষ্ট বয়স বা ডায়েটারি নির্দেশনা অনুযায়ী পরিকল্পনা দরকার।

 
 
 

Comments


Suswastha.png

Address: 2A Mandeville Gardens. Kolkata 700019

Email : suswastha9@gmail.com 

Follow us on

  • Facebook

© Copyright 2025, All rights reserved by Suswastha Publication. Developed by Simpact Digital (Unit of Debi Pranam)

bottom of page